বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি সূচনা ও স্বপ্ন বার্তা
এটা এমন একটা সময় যেখানে
বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের প্রসার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষুদ্র পত্রিকা ও প্রকাশনা
সারা পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় সারা ভারতবর্ষে কাজ করে
চলেছে। এই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও এই ক্ষুদ্র পত্রিকার প্রচলন এবং প্রসার
লক্ষ্য করা যায় । আসলে যেখানে বাঙালি সেখানেই বাংলা ভাষার প্রতি এই আবেগ এবং সেই
নিয়ে কিছু করার তাগিদ বাঙ্গালীর মনকে সব সময় উজ্জীবিত করে এসেছে। আমি মনে করি
সাহিত্য সমাজ বহির্ভূত নয়, সমাজকে নিয়ে সাহিত্য তাই সেই ভাবনা কিছু করা
দরকার ছিল । একটি ছাতার তলায় এসে বেশকিছু সমমনস্ক মানুষের একটি ঐকান্তিক চেতনা
এবং আদর্শ নিয়ে কাজ করবে প্রধানত সেই লক্ষ্যেই বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি'র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আর এই প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোগ নিতে
গেলে কাউকে সামনে এগিয়ে আসতে হয়। সেই কারণে এগিয়ে এসেছিলাম সকলের সাথে এবং
প্রতিষ্ঠা করলাম বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি। যেটা সবচেয়ে ভালো লাগার
বিষয় সেটা হল এই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় ৫৫ টি পত্রিকার সম্পাদক, সম্পাদিকা ও প্রকাশনীর কর্ণধার যুক্ত হয়ে গেলেন কয়েকদিনের
মধ্যে এবং সূচনা হলো বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি'র পথ চলা। তবে শুধু সাহিত্য নয় সমাজসেবা দুঃস্থ কবিদের
সহায়তা এবং সামাজিক কাজকর্ম এটাই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য থাকবে। আমরা সাহিত্য করি
কিন্তু বর্তমান সময়ে সাহিত্য সরকারি অনুদান প্রাপ্ত নয় কবিদের কোন পেনশন প্রকল্প
নেই বা সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা কিছুই পান না। সেই সবগুলো অবশ্যই করা দরকার।
একজন ব্যক্তির পক্ষে সেই দাবি বা সেই লক্ষ্য পূরণ করা প্রায় আজকের দিনে অসাধ্য
যেখানে একটি সংগঠনের তরফে আমরা প্রতিনিয়ত কাজকর্মে লিপ্ত থেকে সেই দাবিগুলো
আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে যোগ্য ব্যবস্থা নিতে পারি। বহু ছোট প্রকাশনী
আছে যারা সরকারি সাহায্য পান না, কিন্তু তাঁরা যাতে বিভিন্ন রাজ্য বা জেলা বইমেলা অংশগ্রহণ করতে
পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমরা যাতে উদ্যোগ নিতে পারি। বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমির
লক্ষ্য থাকবে নিরক্ষরতা দূরীকরণ। সামাজিকভাবে রক্তদান শিবির ,ত্রাণ শিবির পরিচালিত
করা। এগুলো নিয়মিত কাজ করতে করতে অগ্রসর হতে হবে।
বর্তমান সাহিত্যে মুখ দেখাদেখি করে পুরস্কার দেওয়া, ডিজিটাল যুগে ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের
দলাদলি করা খুব নগ্ন। সেটার থেকে মুক্ত হয়ে
কাজ করবার জন্য সংগঠনকে সমস্ত পত্রিকা নিয়ে একটি আদর্শ
নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কোন সংগঠন কখনো একনায়কতন্ত্র হতে পারে না অবশ্যই তার
প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি এই উদ্যোগ নিলে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য সমস্ত পত্রিকা ও
প্রকাশনা যারা এই সূচনায় এসে যোগদান করেছেন প্রত্যেকের কাছে সংগঠন কৃতজ্ঞ এবং
তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য যে সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা প্রথম দিন থেকে আমার সাথে যারা কাজ করেছিলেন ও বর্তমান সময় অবধি তাঁদের সৎ মানসিকতা এবং
সদার্থক ভুমিকা পালন করলেন এবং তাঁদের মুল্যবান সময়,মন এবং শ্রম দান করলেন তাঁদের কাছে বিশ্ব
বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি ঋনী থাকবে এবং প্রত্যেককে
সাংগঠনিক
অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সঞ্জয়কুমার মুখোপাধ্যায়
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি
সম্পাদক
মেঘদূত সাহিত্য পত্রিকা
0 মন্তব্যসমূহ